আল্লামা আহমদ শফীর তেঁতুলতত্ত্ব

 তসলিমা নাসরিন
[আল্লামা আহমদ শফীর সাম্প্রতিক সময়ে প্রচারিত ভিডিও টেপ নিয়ে মুক্তচিন্তা ব্লকে লিখেছেন নির্বাসিত লেখক তসলিমা নাসরিন। পাঠকদের জ্ঞাতার্থে লেখাটি তুলে ধরা হলো।-বি.স.]
বাংলাদেশ থেকে খুব কমই ফোন আসে। বছরে একটি কিংবা দুটি। মাঝে-মধ্যে নিজেই আঁতকে উঠি। জন্মেছি, ও দেশেই কাটিয়েছি শৈশব-কৈশোর ও যৌবন। ও দেশেই আছে আত্দীয়স্বজন, খেলার সাথী, ও দেশেই আছে একসময়ের সহপাঠীরা, সহকর্মীরা, লেখক-বন্ধুরা, অনুরাগী পাঠকেরা। দিব্যি ভুলে গেছে সবাই! তা যাক, আমিও ও নিয়ে দুঃখ করতেও অনেক দিন ভুলে গেছি। আজ কিন্তু ফোন আসা বা না আসা নিয়ে লিখতে বসিনি। লিখছি, কারণ বিকালে একজন ফোন করেছিল দেশ থেকে। মৌলবাদবিরোধী আন্দোলনে জড়িত। শাহবাগেও ছিল। আমার নিষ্ঠ পাঠক। বন্ধু। বলল, 'আপনি কিছু লিখছেন না কেন, এই যে মেয়েদের তেঁতুলের সঙ্গে তুলনা করল আল্লামা শফী'। আমি জিজ্ঞেস করলাম, 'আল্লামা শফীটা কে, শুনি?' কথোপকথনটা তারপর এভাবে এগোলো।
-হেফাজতে ইসলামের আমির।
-হেফাজতে ইসলামটা কী?
_একটা মৌলবাদী দল। কয়েক লাখ লোকের মিছিল নামিয়েছিল ঢাকায়। এখন প্রচুর প্রতিবাদ হচ্ছে তার বক্তব্য নিয়ে। আপনার লেখা মিস করছি। লিখুন।
-কেন প্রতিবাদ হচ্ছে? কী বলেছে সে?
-জনসভায় বলেছে, 'আপনারা মেয়েদের স্কুল-কলেজ, ভার্সিটিতে লেখাপড়া করাইতেছেন। কেন করাইতেছেন? তাদের ক্লাস ফোর-ফাইভ পর্যন্ত পড়াইবেন, যাতে বিবাহশাদি দিলে স্বামীর টাকা-পয়সার হিসাব রাখতে পারে। আপনার মেয়েকে স্কুল-কলেজ, ভার্সিটিতে পড়াইতেছেন, লাখ লাখ টাকা খরচ করতেছেন। কিছু দিন পর আপনার মেয়ে, নিজে নিজে একটা স্বামী জোগাড় কইরা লাভ ম্যারেজ, কোর্ট ম্যারেজ কইরা চইলা যাবে। আপনার কথা স্মরণ করবে না। মহিলাদের ক্লাসে সামনের দিকে বসানো হয়, পুরুষরা কী লেখাপড়া করবে?' আরও জঘন্য কথা বলেছে।
-যেমন?
বলেছে, 'আপনার মেয়েকে কেন দিচ্ছেন গার্মেন্টে কাজ করার জন্য? চাকরি তো অনেকে করতেছেন। আপনি নিজে করতেছেন, আপনার বউ করতেছে, মেয়েরা করতেছে। কিন্তু তারপরও তো পারতেছেন না। খালি অভাব আর অভাব। আগের যুগে শুধু স্বামী রোজগার করত আর সবাই মিল্লা খাইত। এখন বরকত নাই। সবাই মিল্লা এত টাকা কামাইয়াও তো কুলাইতে পারতেছেন না।'
-তাই নাকি?
-বলেছে, 'মেয়েরা হচ্ছে তেঁতুলের মতো। ছোট্ট একটা ছেলে তেঁতুল খাইতেছে, তা দেখলে আপনার মুখ দিয়া লালা ঝরবে। তেঁতুল গাছের নিচ দিয়া আপনি হাঁইটা যান তাইলেও আপনার লালা ঝরবে। দোকানে তেঁতুল বিক্রি হইতে দেখলেও আপনার লালা ঝরবে। ঠিক তেমনি মহিলাদের দেখলে দিলের মাঝে লালা ঝরে। বিবাহ করতে মন চায়। লাভ ম্যারেজ, কোর্ট ম্যারেজ করতে মন চায়। দিন-রাত মেয়েদের সঙ্গে পড়ালেখা করতেছেন, আপনারা দিল ঠিক রাখতে পারবেন না। রাস্তাঘাটে মেয়েদের সঙ্গে চলাফেরা করতেছেন, আপনার দিল ঠিক রাখতে পারবেন না। যতই বুজুর্গ হন আপনার মনের মাঝে কুখেয়াল আইসা যাবে। এইটা মনের জেনা, দিলের জেনা। এইটা এক সময় আসল জেনায় পরিণত হবে।' আপনার রিয়েকশন?
-তেঁতুল আমি খুব পছন্দ করতাম ছোটবেলায়। এখনো জিভে জল চলে আসে তেঁতুল দেখলেই। এত ফল থাকতে আল্লামা লোকটা তেঁতুল বেছে নিয়েছে কেন? ছেলেরা তো অত তেঁতুল পছন্দ করে না। মেয়েরা পছন্দ করে। সে ক্ষেত্রে বরং কোনো ছেলেকে দেখলে মেয়েদের মনে হতে পারে ছেলেটা তেঁতুলের মতো। স্মার্ট হ্যান্ডসাম ছেলে দেখলে বরং মেয়েদের লালা আসাটা স্বাভাবিক। ছেলেদের, ধরা যাক, কোনো কারণে লালা এলো। লালা এলে লালা ঝরতে দেওয়াই ভালো। বিয়ে করতে মন চাইলে করবে। এতে আপত্তিটা উঠছে কেন। সেঙ্, বিয়ে, এসব তো অন্যায় কোনো কাজ নয়। অন্যায় কাজ হলো, অন্যের আপত্তি সত্ত্বেও গায়ের জোরে সেঙ্ করা বা গায়ের জোরে বিয়ে করা।
_উফ। আল্লামা শফীর কথার প্রতিবাদ করুন, সিরিয়াসলি করুন।
-একটা মিসোজিনিস্ট কী বলল না বলল তা নিয়ে অত ভাবছ কেন? ওই ব্যাটাকে এত মূল্য দেওয়ার কী আছে?
-কী বলছেন, এত সব বাজে কথা বলে পার পেয়ে যাবে? আপনি প্লিজ প্রতিবাদ করুন।
-পার তো পেয়েই যাবে। প্রতিবাদ করলেও পাবে, না করলেও পাবে। লোকটা শুধু বলেছে। যা বলেছে, সেই মতো কাজ করে লাখ লাখ লোক প্রতিদিন পার পেয়ে যাচ্ছে। কাউকে তো দোষ দিচ্ছি না। বেচারা আল্লামাকে দোষ দিচ্ছ কেন খামোকা? প্রতিদিন মেয়েদের পড়াশোনা বন্ধ করে জোর করে বিয়ে দিয়ে দেওয়া হচ্ছে, মেয়েদের চাকরি করতে দেওয়া হচ্ছে না, বার্থ কন্ট্রোল করতে দেওয়া হচ্ছে না, মেয়েদের দিয়ে পুরুষের ঘরসংসার, সন্তান সামলানোর কাজ করানো হচ্ছে। প্রতিদিন ঘরে-বাইরে মেয়েরা যৌনবস্তু হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। লোকটা এসব কথা না বললেও এভাবেই চলছিল সমাজ। পুরুষতান্ত্রিক সমাজব্যবস্থার কারণেই তো চলছিল। লোকটা, আমার মনে হচ্ছে, খুব সৎ লোক। পলিটিক্যালি কারেক্ট হওয়ার কায়দাটা এখনো শেখেনি। ধুরন্দররা ওসব শিখে নেয় আগেভাগেই। তারপর তলে তলে সমাজটাকে নষ্ট করে। আল্লামা কিন্তু নতুন কোনো কথা বলেনি। সবার জানা কথাগুলোই বলেছে।
-একটা মৌলবাদীকে সৎ লোক বলছেন?
-বলছি, কারণ লোকটা যা বিশ্বাস করে, তা অকপটে বলে দিয়েছে। সমাজের ভদ্রলোকেরা মনের কথাটা বলে না। লুকিয়ে রাখে। লুকিয়ে রেখে উপরে আধুনিক হওয়ার ভাব দেখায়। ভাব দেখায় তারা মেয়েদের স্বাধীনতায় আর অধিকারে বিশ্বাস করে। টোকা মেরে দেখ কিছুই আসলে বিশ্বাস করে না। আসলে সবাই প্রকাশ্যে বা অপ্রকাশ্যে ওই আল্লামা শফীর আদর্শেই বিশ্বাস করে।
_দেশের মানুষ তো আল্লামার মতো এত ছোটলোক নয়।
মানুষ আবার দলবেঁধে বড়লোক কখন হলো? হয়তো কেউ কেউ ছোটলোক নয়। তবে আল্লামা যা বলেছে তা বাংলাদেশের বেশির ভাগ মানুষের মনের কথা। হয়তো মেয়েদের ঠিক ক্লাস ফোর পর্যন্ত পড়ানোর বদলে কেউ কেউ ক্লাস ইলেভেন-টুয়েলভ অবধি পড়াতে চায়, কেউ এমএ, বিএ বা তারও বেশি পড়াতে চায়, কেউ কেউ মেয়েরা চাকরি করুক তাও চায়, তারাও দেখ গিয়ে মেয়েদের তেঁতুলের মতোই মনে করছে।
-আপনি বলছেন অন্য লোকও মেয়েদের তেঁতুলের মতো মনে করছে। শুধু আল্লামা নয়?
-তা তো নয়ই। অধিকাংশ লোকই মেয়েদের তেঁতুলই ভাবে। কেন, কত পুরুষ-কবি মেয়েদের কত ফুল-ফলের সঙ্গে তুলনা করেছে, পড়নি? কমলা, ডালিম, আপেল, পেয়ারা, আনারস, গোলাপ, বেলি আরও কত কিছু বলে ডেকেছে মেয়েদের শরীরের নানা অংশকে। কেবল তেঁতুল বললেই রাগ হয়? তেঁতুল খুব সস্তা ফল বলে? দামি ফলের সঙ্গে তুলনা করলে হয়তো এত রাগ হতো না। শুধু ফুল ফল! সবজিও তো আনা হয়েছে তুলনায়। পটলচেরা চোখ! শোন, নারী-পুরুষের যৌন আকর্ষণ থাকাটা অতি স্বাভাবিক। কিন্তু নারীকে নিতান্তই বস্তু ভাবাটা, যৌনবস্তু ভাবাটা ঠিক নয়। যেন গোটা মানুষটা একটা ভ্যাজাইনা, গোটা মানুষটা একজোড়া স্তন, গোটা মানুষটা ত্বক, নাক, চোখ, চুল; আর কিছু নয়। যেন মেয়েদের জ্ঞান-বুদ্ধি, চিন্তা-ভাবনা, ইচ্ছা-অনিচ্ছা, নিজস্বতা, স্বকীয়তা, সম্মান, ব্যক্তিত্ব- এসব নেই বা এসব থাকলেও এসবের কোনো মূল্য নেই। মেয়েরা যেন নিজের জন্য জন্মায়নি, জন্মেছে পুরুষের জন্য, পুরুষের যৌন তৃষ্ণা মেটানোর জন্য। তেঁতুলের প্রসঙ্গ তো এলো সে কারণে। ওই লোক কিন্তু পুরুষকে তেঁতুল বলেনি। মেয়েদেরও তো যৌন তৃষ্ণা আছে বাবা! যদি পুরুষের চোখে মেয়েরা তেঁতুলের মতো, মেয়েদের চোখে পুরুষও তো তেঁতুলের মতো। কিন্তু এরা মেয়েদের যৌনতাকে কোনো দিন গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে তো করেই না, বরং অস্বীকার করে, ওটি থাকলে মেয়েদের বেশ্যা বলে গালাগাল করে। এদের চোখে, পুরুষ হচ্ছে ফুলফ্লেজেড হিউম্যান, আর মেয়েরা হচ্ছে সেঙ্-অবজেক্টস কাম স্লেভস। পুরুষকে যৌনতৃপ্তি দেওয়ার, পুরুষের সন্তান জন্ম দেওয়ার, সেই সন্তানকে লালন-পালন করার, ঘর-সংসারের সব কাজকর্ম করার, রান্নাবান্না করার, পরিবেশন করার কাজ ছাড়া তাদের আর কোনো কাজ নেই। পুরুষের মা, স্ত্রী, বোন, কন্যা এসবই হচ্ছে মেয়েদের পরিচয়। আর কোনো পরিচয় সমাজের কয়টা লোক মানে, বল! পুরুষতন্ত্র হচ্ছে মেয়েদের বন্দী করে রাখার জন্য বোরখার মতো একটা বন্ধ কারাগার।
-কেউ তো আল্লামা শফীর মতো এমন আজগুবি কথা আগে বলেনি!
-সবাই বলছে। আল্লামা রাখঢাক না করে, একটু অসভ্য ভাষায় বলেছে, এই যা। সভ্য ভাষায় সভ্য লোকেরা যখন বলে, ওটা তোমাদের শুনতে অত মন্দ লাগে না। কোরআন হাদিসও ভালো করে পড়ে দেখ, এসব কথাই লেখা আছে।
-কী বলছেন?
-হ্যাঁ। যা বলছি ঠিকই বলছি। কী চাও? বৈষম্য নাকি সমতা, বর্বরতা নাকি মানবতা_ একটাকে তোমাদের বেছে নিতে হবে। ধর্মে সোজা কথা সাফ কথা_ সমানাধিকার নেই, সত্যিকার মানবতাও নেই। আগেই বলেছি, ধর্ম আগাগোড়াই, মানে টপ টু বটম পুরুষতন্ত্র। যদি ইসলামে কারও অবিশ্বাস থাকে তাকে কুপিয়ে মেরে ফেলার কথা লেখা আছে। এরচেয়ে মানবতাবিরোধী কাজ আর কী হতে পারে! অ্যাডাল্টারি করলে পাথর ছুড়ে মেরে ফেলতে হবে মেয়েদের। মেয়েদের আপাদমস্তক ঢেকে রাখতে হবে। কারণ তাদের দেখলে পুরুষের যৌন-ইচ্ছা জাগতে পারে। পুরুষের যৌন ইচ্ছা জাগতেই পারে, জাগুক। মেয়েদের যদি একই সঙ্গে সেই ইচ্ছাটা না জাগে, তবে পুরুষকে কন্ট্রোল করতে হবে। একই রকম মেয়েদের বেলাতেও।
-পুরুষরা তো কন্ট্রোল করতে জানে না।
-কে বলেছে জানে না? ঠেকায় পড়লে ঠিকই জানে। কিন্তু ঠেকা নেই তো এখন। পুরুষরা এই সমাজের মাতব্বর। মাতব্বরেরা বলে দিয়েছে, যৌনআকাঙ্ক্ষা সংযত করার কোনো দরকার নেই। তারা যা খুশি করতে পারে। যার ওপর ইচ্ছা তার ওপরই ঝাঁপিয়ে পড়ার, ধর্ষণ করার অধিকার তাদের আছে। তাদের পেশিতে শক্তি আছে, মেয়েদের ওপর পেশির শক্তি তারা খাটাবে। এই শক্তি আল্লাহর দেওয়া। জগৎটা তাদের। তাদের ফুর্তির জন্য। কিন্তু তা তো আসলে নয়। জগৎটা নারী-পুরুষ উভয়ের। পরস্পরের প্রতি সম্মান না থাকলে জগৎটা তো চলবে না। আমরা যত সভ্য হচ্ছি, তত সমাজ পাল্টাচ্ছি। আমরা বলে-কয়ে নিয়েছি যে, আমরা পেশি দিয়ে বা পুরুষাঙ্গ দিয়ে জগৎ, রাষ্ট্র বা সমাজ চালাব না। বুদ্ধি দিয়ে চালাব। সুবুদ্ধি দিয়ে। সুবিবেচনা দিয়ে।
-অবশ্য সব পুরুষ এক নয়। সব পুরুষই ধর্ষণ করে না।
অবশ্যই সব পুরুষ এক নয়। অনেক পুরুষই নারীর সমানাধিকারে বিশ্বাস করে। কিন্তু তাদের সংখ্যাটা নিতান্তই কম। এই সংখ্যাটা দ্রুত বাড়া উচিত। শুধু পুরুষ নয়, নারীর সমানাধিকারে বিশ্বাস করা নারীর সংখ্যাও খুব বেশি নয়। ওই সংখ্যাটাও বাড়াতে হবে।
-আর আল্লামার কী হবে? ওর অনুসারীর সংখ্যা তো অনেক বেশি।
-সে ওর কৃতিত্ব। তোমরা পিতৃতন্ত্রকে দূর করতে পারনি বলেই এমন হচ্ছে। মানুষকে বিজ্ঞান শিক্ষায় যথেষ্ট শিক্ষিত করতে পারনি বলে মানুষ আজ অন্ধত্ব, কুসংস্কার, গোঁড়ামির মধ্যে বড় হচ্ছে। সমতা সমানাধিকার ইত্যাদি বিষয়ে মানুষকে শিক্ষিত করনি বলে নারীবিরোধিতা, নারী ঘৃণা, পুরুষপ্রাইড ইত্যাদি নিয়ে বেড়ে উঠেছে। বেড়ে উঠেছে বলেই সহজেই আল্লামা শফীর কথাগুলো তাদের মনঃপূত হয়। শফীর প্রতিবাদ করে যত না কাজ হবে, তার চেয়ে বেশি কাজ হবে যদি প্রচার মাধ্যমকে ব্যবহার কর মেয়েদের অধিকার সম্পর্কে, মানবাধিকার সম্পর্কে সাধারণ মানুষকে জ্ঞান দিতে। শহরের মোড়ে দাঁড়িয়ে, প্লাকার্ড হাতে নিয়ে চিলি্লয়ে, দু-চারটা কলাম লিখে সমাজটাকে খুব বেশি বদলানো যায় না। সাধারণ মানুষের কাছে পেঁৗছতে হবে তোমাদের। মুশকিল হলো বছরগুলোকে গড়িয়ে যেতে দিয়েছ, আর এই ফাঁকে সাধারণ মানুষের কাছে পেঁৗছে গেছে আল্লামারা। তাই ডাক দিলে পিঁপড়ার মতো লোক বেরিয়ে আসে রাস্তায়। চোখের সামনে কী দ্রুত তৈরি হয়ে গেল একটা গণ্ডমূর্খের সমাজ। বড় দুঃখ হয়।

0 commentaires:

Enregistrer un commentaire

Share

Twitter Delicious Facebook Digg Stumbleupon Favorites More